Back to Articles

আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে সাহায্য চাওয়া শিরক কি না

October 5, 20255 min read1 views

ইবাদতে আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করাকে শিরক বলা হয়। শিরক ছাড়াও মানুষ বিভিন্ন অপরাধ করে থাকে। কখনো ইচ্ছাকৃত, কখনো অজ্ঞতাবশত । অতএব তার অপরাধের সম্ভাবনা কখনো ইচ্ছাকৃত, কখনো অজ্ঞতাবশত । অতএব তার অপরাধের সম্ভাবনা সর্বদাই থাকে। এজন্যই মানুষকে আল্লাহর নিকট ক্ষমাপ্রার্থী হতে হয়, এবং ভুলক্রটি সংশোধন করে ইবাদতকে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য করার উপায় জানতে হয়। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের জন্য উপযুক্ত সাহায্যকারীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ বলেন- 


وَلَوْ أَنَّهُمُ إِذْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ جَاؤُوكَ فَاسْتَغْفَرُوا اللَّهَ وَاسْتَغْفَرَ لَهُمُ الرَّسُولُ لَوَجَدُوا اللَّهَ تَوَّابًا رَحِيمًا


[উচ্চারণ : ওয়া লাও আন্নাহুম ইজ্ব জ্বালামূ আনফুসাহুম জাউকা ফাসতাগফারুল্লাহা ওয়াসতাগফারা লাহুমুর রাসূলু লাওয়াজাদুল্লাহা তাওয়্যাবার রাহীমা ।]


অর্থাৎ, "হে মাহবুব (সা:)! যদি তারা নিজেদের উপর জুলুম করার পর আপনার কাছে আসত, আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করত এবং রাসূলও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতেন, তবে নিশ্চয় তারা আল্লাহকে অতিশয় তওবা কবুলকারী ও পরম দয়াময় হিসেবে পেতো।" (সূরা-আন নিসা-৪ : আয়াত-৬৪) 



মহিমাম্বিত আল্লাহ্ ওহীর বাণী আল কুরআনের অন্যত্র এরশাদ করেন-


             يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَابْتَغُوا إِلَيْهِ الْوَسِيلَةَ

   [উচ্চারণ : ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানুত্তা কুল্লাহ ওয়াবতাগূ ইলাইহিল ওয়াসীলাহ।]


অর্থাৎ : “হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, এবং তার নৈকট্য লাভের উসিলা অনুসন্ধান করো !” (সূরা-আল মায়িদাহ-৫ : আয়াত-৩৫)


যুগে যুগে মহান রাব্বুল আলামীন ধর্ম সম্পর্কে মানুষের ভুল ধারণা ও ক্রটিপূর্ণ আমল সংশোধন করে, আল্লাহ্ প্রাপ্তির সঠিক পথের সন্ধান দেয়ার জন্য নবুয়তের যুগে নবী ও রাসূল, এবং বেলায়েতের যুগে যুগের ইমাম, মোজাদ্দেদ ও আলী-আল্লাহ্ প্রেরণ করে আসছেন। তারা সমকালীন মানুষের জন্য পথপ্রদর্শক, এবং আল্লাহুর প্রতিনিধি । অর্থাৎ তাঁদের কাছে গিয়ে মানুষ যেমন হিদায়েত লাভ করে, তেমনই তাঁদের উসিলায় মানুষের যাবতীয় পার্থিব বালা-মুসিবত দূর হয় ।তাই আলী-আল্লাহুর সাহায্য চাওয়া মোটেই শিরক নয় ! বরং আল্লাহুর কাছে সেটি পছন্দনীয় । এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেন-


يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ

                                       

 উচ্চারণ: ইয়া আইয়্যুহাল্লাযীনা আমানূ আত্বী’উল্লাহা আত্বী’উর রাসুলা ওয়া উলিল আমরি মিনকুম।]


অর্থাৎ : হে মু’মিনগণ! তোমরা অনুগত্য করো আল্লাহুর, অনুগত্য করো রাসুলের, এবং তাঁদের, যাঁরা তোমাদের মধ্যে (আল্লাহুর সাথে যোগাযোগ করে) ফয়সালা দিতে পারেন !” (সূরা-আন নিসা-৪ : আয়াত-৫৯


এজন্য ওহীর বাণী আল কুরআনের পথনির্দেশনা থেকে জানা যায়, হিজরত সংঘটিত হয়ে যাওয়ার পর মক্কায় থেকে যাওয়া বিপদগ্রস্ত মুসলমানগণ বিপদমুক্তির জন্য আল্লাহুর কাছে প্রার্থনা করে বলেছিলেন-

رَبَّنَا أَخْرِجْنَا مِنَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ الظَّالِمِ أَهْلُهَا وَاجْعَلْ لَنَا مِن لَّدُنْكَ وَلِيًّا وَاجْعَلْ لَنَا مِن لَّدُنْكَ نَصِيرًا


[উচ্চারণ : রাব্বানা আখরিজনা মিন হাযিহিল ক্বারইয়াতিজ্ব জ্বালিমি আহলুহা, ওয়াজ’আল লানা মিনল্লাদুনকা ওয়ালিইয়্যাও, ওয়াজ’আল লানা মিল্লাদুনকা নাসীরা।]


অর্থ- “হে আমাদের প্রতিপালক! এ জনপদ থেকে আমাদের বের করে নিন, এখানকার অধিবাসীরা ভয়ানক অত্যাচারী । আর আপনার কাছ থেকে কাউকে আমাদের অভিভাবক করে দিন, এবং আপনার কাছ থেকে কাউকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী করে দিন ।" (সূরা-আন নিসা-৪ : আয়াত-৭৫)


মহান রাব্বুল আলামীনের এ বাণী মোবারকে বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, যদি অলী-আল্লাহর সাহায্য চাওয়া শিরক হতো, তবে মুসলমানগণ এভাবে প্রার্থনাও করতেন না, আর মহান আল্লাহও এ প্রার্থনা পছন্দ করে কবুল করতেন না । অতঃপর তা কুরআনে উল্লেখও করতেন না ।


প্রকৃতপক্ষে পরম করুণাময় আল্লাহ চান, মানুষ তাঁর প্রেরিত মহামানবের সান্নিধ্যে এসে তাঁর রহমত লাভ করুক । উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- কোন ব্যক্তি যখন লঞ্চ ডুবে নদীতে মৃত্যুর সম্মুখীন হয়, তখন সে যদি বাঁচার জন্য বিধর্মী জেলের কাছে সাহায্য চায়, এতে তার শিরক হবে না । তাহলে কোন অলী-আল্লাহর সাহায্য চাইলে তা শিরক হবে কেন? বরং অলী-আল্লাহগণের নিকট সাহায্য চাওয়ার অর্থ হচ্ছে তাঁদেরকে উসিলা হিসেবে গ্রহণ করা, এবং তাঁদের উসিলায় আল্লাহর রহমত লাভের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করা ।


প্রকৃতপক্ষে আওলিয়ায়ে কেরামের উসিলায় আল্লাহর রহমত লাভের সম্ভাবনা এতই বৃদ্ধি পায় যে, ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত একজন মহাপাপীও আল্লাহর ক্ষমা লাভে ধন্য হয় । এ প্রসঙ্গে হাদীসের আলোকে একটি ঘটনা নিম্নে উল্লেখ করছি-


বনী ইসরাঈলের এক মহাপাপী ব্যক্তি অলী-আল্লাহগণের মজলিসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করায় মহান আল্লাহর ক্ষমা লাভ


হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে-“বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি জঘন্য পাপ করত । মদ্যপান, ব্যভিচার ও মানুষ হত্যা ছিলো তার নিত্য কর্ম । একে সে নিরানব্বইজন নিরপরাধ মানুষকে নির্মমভাবে খুন করে । একদা এ মহাপাপীর মাঝে অনুশোচনা সৃষ্টি হয় । অনুতাপের আগুনে তার হৃদয় দগ্ধ হতে থাকে । সে আল্লাহর ক্ষমা লাভের আশায় অস্থির হয়ে ওঠে । সে অনেক খোঁজাখুঁজি করে একজন বড় ধর্মযাজকের দ্বারস্থ হয়ে আরজ করে- হযরত! আমি নিরানব্বইজন মানুষ খুন করেছি, আমার জন্য কি আল্লাহর ক্ষমা আছে? ধর্মযাজক এ মহাপাপীর পাপের বিবরণ শুনে বললেন- আল্লাহ যদি তোমাকেই ক্ষমা করে দেন, তবে তিনি জাহান্নাম বানিয়েছেন কার জন্য? এ কথা শুনে বনী ইসরাঈলের এ ব্যক্তি ধর্মযাজককে হত্যা করে একশ' খুন পূর্ণ করে । এ পর্যায়ে সে আল্লাহর ক্ষমা লাভের আশায় পুনরায় পথ চলতে লাগলো। পথিমধ্যে লোকটি একজন আল্লাহওয়ালা সূফীর সাক্ষাৎ পায়। ঘটনা সবিস্তারে অবগত হয়ে সূফী আল্লাহওয়ালা বললেন- হ্যা, তোমার জন্য আল্লাহর ক্ষমা আছে। আমি আল্লাহর এক ক্ষুদ্র বান্দা, তুমি অমুক স্থানে যাও। সেখানে কিছু সংখ্যক আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি বান্দা, তুমি অমুক স্থানে যাও । সেখানে কিছু সংখ্যক আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি আল্লাহর স্মরণে নিমগ্ন আছেন। লোকটি আল্লাহর ক্ষমা লাভের আশায় আল্লাহর অলী-বন্ধুদের মজলিসের দিকে পাগলের ন্যায় ছুটে চলল। কিন্তু! কিছুপথ অগ্রসর হওয়ার পর মালাকুল মউত তার সামনে এসে হাজির হলো। তার হায়াত ফুরিয়ে গেছে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার কিছুমাত্র সময় নেই। রূহ কবজ হয়ে গেলো। এদিকে পাপিষ্ঠ এ ব্যক্তির রূহ নেয়ার জন্য সিজ্জিনের একদল ফেরেশতা যেমন আগমন করে, তেমনি ইল্লিনের একদল ফেরেশতাও হাজির হয়ে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। সিজ্জিনের ফেরেশতাদের দাবি, মৃত ব্যক্তি মহাপাপী; সুতরাং তার রূহ জাহান্নামের অশান্তিতে নিক্ষিপ্ত হবে। ইল্লিনের ফেরেশতাদের দাবি, সে আল্লাহর ক্ষমা লাভের আশায় আল্লাহর বন্ধুদের দরবার শরীফের দিকে যাচ্ছিল; সুতরাং তাকে শান্তিময় স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মহান আল্লাহ দু'দল ফেরেশতার মাঝে একজন ফেরেশতা প্রেরণ করেন এ ফয়সালা দিয়ে, তোমরা উভয়দল স্থান মেপে দেখো। সে কি যাত্রাপথ থেকে অলী- আল্লাহগণের মজলিসের দিকে বেশি অগ্রসর হয়েছে, নাকি অর্ধেকেরও কম পথে আছে? উভয় স্থানের মধ্যে যে স্থানের দিকে সে অধিক নিকটবর্তী হবে, তাকে সে স্থানের বলে গণ্য করা হবে। এদিকে সর্বজ্ঞ আল্লাহ ফেরেশতা প্রেরণ করে লক্ষ্য করলেন- তার আল-গাফূর তথা পরম ক্ষমাশীল নামের মহিমা প্রত্যাশী লোকটি দূরত্বের অর্ধেকের চেয়ে বেশি আসতে পারেনি, বরং অর্ধেকের চেয়েও এক বিঘত পরিমাণ জায়গা পিছনে রয়েছে। এ সময় সুমহান আল্লাহ তার আল-গাফূর তথা পরম ক্ষমাশীল নামের মহিমা প্রকাশ করলেন, জমিনকে নির্দেশ করলেন- মৃত ব্যক্তির লাশকে এক হাত সামনে ঠেলে দাও। এদিকে প্রেরিত ফেরেশতার ফয়সালা অনুযায়ী দূরত্ব মেপে ইল্লিনের ফেরেশতারা লাশটিকে অলী-আল্লাহগণের মজলিসের অধিক নিকটবর্তী পেলো। অত:পর তারাই আল্লাহর ক্ষমা লাভে ধন্য ঐ ব্যক্তির রূহটি শান্তিময় স্থানে নিয়ে যায়।” (তাফসীরে সূফী সম্রাট দেওয়ানবাগী- ৪র্থ খন্ড, পৃষ্ঠা- ৯১ ও ৯২; বোখারী শরীফ- ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা- ৪৯৩ ও ৪৯৪; ই.ফা.বা. কর্তৃক অনুদিত বোখারী শরীফ- ৬ষ্ঠ খন্ড, হাদিস নং- ৩২২৪, পৃষ্ঠা- ১৫০ ও ১৫১; মুসলিম শরীফ- ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৩৫৯; মেশকাত শরীফ, পৃষ্ঠা- ২০৩; এবং রিয়াদুস সালেহীন, পৃষ্ঠা- ৩৫ ও ৩৬, হাদীস নং- ২০)


এমনিভাবে আল্লাহর রাসুল (সা:) এরশাদ করেন-


لِلَّهِ عَزَّ وَجَلَّ مِائَةُ رَحْمَةٍ وَاحِدَةٌ بَيْنَ أَهْلِ الْأَرْضِ فَوَسَعَتْهُمْ إِلَى

آجَالِهِمْ وَذَخَرَ تِسْعَةً وَ تِسْعِينَ رَحْمَةً لَا أَوْلِيَائِهِ، وَاللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَابِضٌ

تِلْكَ الرَّحَمَةَ الَّتِي

قَسَمَهَا بَيْنَ أَهْلِ الْأَرْضِ إِلَى التِسْعَةِ وَالتِسْعِينِ فَيُكَلِّمُهَا مَائَةُ رَحْمَةٍ لَا

أَوَلَ لِأَهْلِ يَوْمِ الْقِيَامَةِ ~



[উচ্চারণ : লিল্লাহি 'আঝঝা ওয়া জাল্লা মিআতু রাহমাতিন ওয়া ইন্নাহূ ক্বাসসামা রাহমাতাও ওয়াহিদাতান  বায়না আহলিল আরদ্বি ফাওয়াসি'আতহুম ইলা আজালিহিম ওয়া যাখারা তিস'আতাও  ওয়া তিস'ঈনা রাহমাতাল লিআওলিইয়াইহী, ওয়াল্লাহু ‘আঝঝা ওয়া জাল্লা ক্বাবিদ্বুন তিলকার রাহমাতাল লাতী ক্বাসসামাহা বাইনা আহলিল আরদ্বি ইলাত তিস'আতি ওয়াত তিস'ঈনা ফাইউকাম্মিলুহা মিআতা রাহমাতিল লিআওলিয়াইয়াইহী ইয়াওমাল ক্বিইয়ামাহ]


অর্থাৎ : "মহান ও মহিমান্বিত আল্লাহ একশ' রহমত সৃষ্টি করেন । এর মধ্যে থেকে একটি রহমত তিনি পৃথিবীবাসীর মাঝে বন্টন করে দেন । আর তিনি তাদের মাঝে এটি ছড়িয়ে দেন নির্ধারিত এক সময়ের জন্য । অবশিষ্ট নিরানব্বইটি রহমত মহান আল্লাহ আওলিয়ায়ে কেরামের মাঝে সঞ্চিত রেখেছেন । অতঃপর মহান ও মহিমান্বিত আল্লাহ পৃথিবীবাসীর মাঝে যে একটি রহমত বন্টন করেছেন, কিয়ামত দিবসে তা গুটিয়ে নেবেন, এবং নিরানব্বইটি রহমতের সাথে তা সংযুক্ত করে, সর্বমোট একশ' রহমতই আওলিয়ায়ে কেরামের জন্য নির্ধারণ করে দেবেন ।" (মুসনাদে আহমদ-৯ম খন্ড, পৃষ্ঠা-৫৩৩)


কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই, এক শ্রেণীর আলেম নামধারী ব্যক্তি আলী- আল্লাহগণের নিকট সাহায্য চাওয়াকে শিরক বলে প্রচার করে, অথচ নিজেরা পার্থিব বিপদে পড়ে বিধর্মীদের সাহায্য নিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না । এ ধরনের প্রচার অবশ্যই বিদ্বেষমূলক । প্রকৃতপক্ষে নবুয়ত শেষ হওয়ার পর বেলায়েতের যুগে আলী-আল্লাহর সাহায্য নিয়ে ক্বালবে আল্লাহর জিকির জারি করা ব্যতীত মানুষ ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরণ করতে পারবে না । আল্লাহ বলেন-


                      وَمَنْ يُضْلِلْ فَلَنْ تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُرْشِدًا


[উচ্চারণ : ওয়া মাইয়্যাদ্বলিল ফালান তাজিদা লাহূ ওয়ালিয়্যাম মুরশিদা ]


অর্থাৎ: "আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, আপনি কখনো তার জন্য কোন (মুর্শেদ বা) পথ-প্রদর্শনকারী অভিভাবক পাবেন না ।" (সূরা-আল কাহ্ফ-১৮ : আয়াত-১৭)


সুতরাং যে কেউ তাঁর সাহায্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে, সে নিজেকে গোমরাহী থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হবে, এবং পরিণামে বেঈমান হয়ে মৃত্যুবরণ করে জাহান্নামী হবে।



Share this article:

More Articles You May Like

ঈমান কি? ঈমানের স্তর কয়টি ও কি কি?
ইসলামী আকিদাহ
October 3

ঈমান কি? ঈমানের স্তর কয়টি ও কি কি?

ঈমান الایمان অর্থ বিশ্বাস। আল্লাহ্র  একত্ববাদের প্রতি অন্তরে দৃঢ় বিশ্বাস স্থাপন করার নামই ঈমান। নিশ্চয়ই ঈমান হচ্ছে ক্বালবের ভেতর শুভ্র আলোকোজ্জ্বল ...

Read More
মুসলমান কাকে বলে? উত্তরাধিকার সূত্রে বা জন্মসূত্রে মুসলমান হওয়া যায় কি
ইসলামী আকিদাহ
October 2

মুসলমান কাকে বলে? উত্তরাধিকার সূত্রে বা জন্মসূত্রে মুসলমান হওয়া যায় কি

ইসলাম ও মুসলিম শব্দের উৎপত্তি "সিলমুন (سَلِمَ)" শব্দমূল থেকে, যার অর্থ শান্তি। ইসলাম মানে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা, আর মুসলিম মানে আত্মসমর্পণকারী। ...

Read More
শিরক কাকে বলে
ইসলামী আকিদাহ
October 1

শিরক কাকে বলে

শিরক (شرك) ইসলামের সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ। নামাজ, কিংবা অন্যান্য ইবাদতে আল্লাহর সাথে অন্য কিছুর কল্পনা করাই শিরক। লোক দেখানো ইবাদত (নামাজ, রোজা, দান),অন্...

Read More